রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮

Fart বা পাদ- রচনা (পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই যিনি বায়ু নি:সরণ করেননি)

নেট থেকে  সংগৃহীত

পাদ কি? স্তন্যপায়ী প্রাণীকুলের একটি অপরিহার্য দৈনন্দিন কার্য।তবু ব্যাপারটাকে কেন যেন সবাই খাটো করে দেখে, অন্তত দেখার চেষ্টা করে।পায়ুপথে গ্যাস বের হওয়া বা (Flatulence) Fart বা পাদ একটি বহুল প্রচলিত শব্দ। পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই যিনি বায়ু নি:সরণ করেননি। ছোট- বড়, ধনী- গরিব, সাধারণ মানুষ- সেলিব্রেটি সবাই এ কাজটি নিখুতভাবে করে থাকেন। পাদ মেরে অনেকেই গিনেসবুকে নিজের নাম লিখিয়েছেন।

পাদ কাকে বলে? 
বিশেষজ্ঞদের মতে পাদ, সংকুচিত গুজ্যোদার, ইশিত সম্প্রসারিত হইয়া কখনও স্ব শব্দে, কখনও নিঃশব্দে নির্গত হইয়া মানব কুলের নাশিকা কুঞ্চিত করতে বাধ্য করে, তাহাকে পাদ বলে।।
আর সহজ ভাষায় বলতে গেলে, পাকস্থলীতে লুকিয়ে থাকা দুষ্ট বায়ু যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় পায়ুপথ হতে নির্গত হয়, তাকে পাদ বলে। পাদ হচ্ছে, মানবজাতির জন্য অতিব জরুরী একটি পন্থা। 
বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় পাদঃ পরিপাকতন্ত্রের নানারকম ভেল্কিবাজিতে আমাদের পেটের অভ্যন্তরে যে মিথেন গ্যাস প্রস্তুত হয়, বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় তাকেইপাদ বলে।

বিভিন্ন প্রকার পাদঃ 
পাদ বিভিন্ন প্রকার হতে পারে তাহা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ- 

ফুস পাদঃ অপর নাম জেনট্যলমেন’স পাদ। যে পাদ অনেকক্ষণ চেপে রেখে ধরে রাখতে না পেরে বের হয়ে যায়। গন্ধ হয়।
ধুম পাদঃ এটা মূলত যারা পাদ নিয়ে লজ্জিত নন, তারা দিয়ে থাকেন। পেটে গ্যাস অনুভূত হওয়ামাত্রই তারা সেটা সশব্দে ছেড়ে দেন। গাঁজন হয় না বলে এতে সাধারণত গন্ধ হয় না।
কুইয়া পাদঃ এটার অপর নাম চুরাপাদ। এটা লম্বা সময় ধরে পায়খানা আটকে রাখার পরের পাদ। হিরোশিমার বোমার চাইতে ভয়ংকর রি পাদ। মানুষের ভীড়ে এটা দিয়ে ধরা খেলে খুনের মামলার আসামী হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
চুকা পাদঃ অপর নাম টক পাদ। এটা ছাড়লে সাধারণত আশেপাশের মানুষ গন্ধের সাথে জিহবার ডগায় ঈষৎ টক অনুভব করে। এটাকে কুইয়া পাদের আব্বা বলা চলে।
কষা পাদঃ পায়খানা কষা হলে এই পাদ হয়। পায়খানার মতোই কষ্টকর এই পাদ। এটা দিতে গেলে গূহ্যদ্বার ছিড়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। প্রচুর গন্ধ হয়। তবে জলীয় উপাদান কম থাকায় গন্ধ বেশিক্ষণ থাকে না।
বাদাম/ডিম পাদঃ বাদাম বা সিদ্ধ ডিমের কুসুম খেলে এই পাদ হয়। এর গন্ধ সাধারণত বাদাম/ডিম/বিটলবণের গন্ধের মতো, আলাদা করা প্রায় অসম্ভব! অনেকক্ষণ গন্ধ থাকে। বাস বা রেলে মানুষের পেটে গ্যাস হলে অনেকে বুদ্ধি করে এসব খায়। খেয়ে নিজের পাদের গন্ধ ঢাকার চেষ্টা করে।
ঝোল পাদঃ ডায়রিয়ার সময় এই পাদ হয়। চলাফিরার মূহুর্তে দেয়া একটু ঝুকিপূর্ণ। যেকোনো সময়ে হলুদ ঝোলে প্যান্ট মাখামাখি হয়ে যেতে পারে। এর শব্দ সাধারণত ‘ফেড়ফেড়’ বা ‘ভ্যাড়ভ্যাড়’।
খানদানি পাদঃ এটা সাধারণত বংশ পরম্পরায় মানুষ দিয়ে থাকে। জীনগত বৈশিষ্ট্য। গর্বমেশানো এই পাদে গন্ধ থাকে না।

উপসংহারঃ মানব জীবনে পাদের গুরুত্ব অপরিসীম। পাদ দিতে না পারলে মানুষের পেটে মিথেন গ্যাস জমে যেতো। আর তখন মানুষ মহাশুন্যে উড়ে যেতো। আসুন আমরা পাদ কে জাতীয় বায়ু হিসেবে ভূষিত করি। 

এবার তাহলে একটা কবিতা বলে শেষ করি--  
পাদে পাদন্তি
পাদে শান্তি
পাদ নাই যার
পোড়া কপাল তার
বন্ধু ভেবে পাদ দিয়েছি 
মাইন্ড করেছো তাই না?
মুচকি করে একটু হাসো
প্যাঁচা মুখটা চাই না।

সংগৃহীত- লিঙ্ক সুত্রঃ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ